Saturday 27 February 2016

চলুন ঘরে বসেই করি অনলাইনে আয় দিনে $2-$4 ইনকাম

চলুন ঘরে বসেই করি অনলাইনে আয় দিনে $2-$4 ইনকাম করতে পারবেন  থেকে যেভাবে আয় করবেন এখানে ক্লিক করু1  http://www.lexiadz.com/?ref=mezanur66

<a target="_blank" href="http://www.lexiadz.com/?ref=mezanur66"><img src="http://www.lexiadz.com/banner2.gif" border="0" width="728" height="90" /></a>

এই সাইট টি কিছু দিন হল চালু হইছে।এবং google থেকে ভেরিফাইড আমার মনে হয় এই সাইটে ইনকাম বেশি।সাইট টা paidverts এর মতই কিছুটা আমি নিজে কাজ করতেছি।আশা করি এই সাইট থেকে ভালো ইনকাম করতে পার®বe।যেহেতু এইটা নতুন সাইট আপনারা এখানে প্রথম প্রথম একাউন্ট খুললে আপনারাই লাভবান হবেন। এ যারা প্রথমে একাউন্ট খুলছিল তারাই বুঝে যে প্রথমে একাউন্ট খোলা কত লাভ।এখনও লাভ তবে প্রথমে অনেক বেশি ছিল।যে কোন সাইট এ প্রথমে এড এর মুল্য গুলা অনেক বেশি থাকে এই সাইট টাও তাই।এখানে একাউন্ট আর দশটা সাইট এর মতই

Wednesday 25 November 2015

ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ফায়ারফক্স ইন্টিগ্রেশান


আইডিএম নিয়ে মানুষের সমস্যার অন্ত নেই। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ সব কিছু রেডিমেড পেতে চায়। দেখুন পড়াশুনা না করে এক্সাম দিতে গেলে যেমন অবস্থা হবে তেমনি আইডিএম নিয়ে এক মিনিট সময় ব্যায় করার ইচ্ছা না থাকলে আইডিএম এ সমস্যা হবেই। আমি লাইফ টাইম প্যাচ নিয়ে এর আগে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। তার সাথে আমি টিউটোরিয়ালও দিয়েছি। যাতে আপনাদের কাজ সহজ হয়। তাছাড়া আমার করা টিউটোরিয়াল ও দেয়া প্যাচ দিয়ে প্যাচ করলে আপনি আইডিএম আপডেট করতে পারবেন। তারপরও অনেকের সমস্যার অন্ত নেই। তারপর আমি যেখানেই দেখি আইডিএম নিয়ে হেল্প চাচ্ছে সেখানেই আমি বলা শুরু করি যে টিম ভিউয়ার দিয়ে সেটাপ দিয়ে দিচ্ছি। এর বেশী কিছু আর করা সম্ভব না। যাই হোক আইডিএম নিয়ে যদি কেউ সমস্যায় না পড়তো তাহলে হয়তো আমার পোস্ট লেখার টপিকটাই পাওয়া যেত না। এই দিক দিয়ে এটি একটি সুবিধা ! এবার আসুন দেখে নেই এই পোস্টে আমি আইডিএম এর কি কি সমস্যার সমাধান করবো-
  • আইডিএম ইন্সটল করেছেন কিন্তু আইডিএম দিয়ে ফায়ারফক্সে ডাউনলোড হচ্ছে না?
  • ইউটিউবে আইডিএম এর ডাউনলোড বাটন পাচ্ছেন না?
  • ইউটিউবে আইডিএম এর ডাউনলোড বাটনে উল্টো পাল্টা ফরমেট দেখায় বা অডিও ডাউনলোড লিংক দেখায়?
এই সমস্যা গুলোর সমাধান আপনি একেবারে সহজেই পেতে পারেন। আপনি জাস্ট idm firefox integration লিখে গুগলে সার্চ দিলে প্রথমে যে লিংক পাবেন সেটিই হচ্ছে সমাধান। তাছাড়া এই সমাধানটির একটি ভিডিও টিউটোরিয়ালও পোস্টের শেষে দিয়ে দিয়েছি, আশাকরি সেটিও কাজে আসবে।
ধাপ ১: IDM Firefox Integration – আইডিএম ফায়ার ফক্স ইন্টিগ্রেশান – এখানে ক্লিক করুন। তারপর একটা উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান হতে Save File এ ক্লিক করুন।
IDM Firefox Integration (1)
IDM Firefox Integration (1)
ধাপ ২: এবার Ok বাটনে ক্লিক করুন। তারপর যেখানে ফাইলটি সেভ করতে চান সেভ করে নিতে পারেন।
নোট: আপনি যদি চান তাহলে Open with অপশন সিলেক্ট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে Browse এ ক্লিক করে ফায়ারফক্স সিলেক্ট করে Ok বাটনে ক্লিক করতে হবে। সেক্ষেত্রে ধাপ ৩ ফলো করা লাগবে না। আরেকটি কথা সেটি হচ্ছে আপনি যদি ফাইলটি সেভ করে রাখেন তাহলে সেটা ফায়ারফক্স রিইন্সটল দিলে আবার ব্যবহার করতে পারবেন। তাই সেটি যত্ন করে রেখে দিতে পারেন। তবে আইডিএম এর নিউ ভার্সনে একই প্লাগিন কাজে নাও লাগতে পারে।
ধাপ ৩: এবার ডাউনলোড করা ফাইলটি ফায়ার ফক্সে ড্রাগ করুন।
IDM Firefox Integration (2)
IDM Firefox Integration (2)
ধাপ ৪: এবার Software Installation উইন্ডো আসবে। সেখানে ইন্সটল বাটনটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য ডিজেবল থাকবে। এনাবল হলে Install বাটনে ক্লিক করুন।
IDM Firefox Integration (3)
IDM Firefox Integration (3)
ধাপ ৫:  ইন্সটল সাক্সেস হবার একটা নোটিফিকেশান পাবেন। সেখানে Open Add-Ons Manager বা Restart Firefox অপশন পাবেন। যদি Restart Firefox অপশন পান তাহলে সেটাতে ক্লিক করুন। তাহলেই কাজ শেষ। আর কিছু করা লাগবে না। আর যদি আপনারটাতে Open Add-ons Manager অপশন দেখায় তাহলে সেটাতে ক্লিক করুন। তাহলে এডন ম্যানেজার ট্যাবে নিয়ে যাবে।
IDM Firefox Integration (4)
IDM Firefox Integration (4)
ধাপ ৬: IDM CC নামে একটা প্লাগিন দেখতে পাবেন। সেখানে দুটো বাটন থাকবে। যদি দেখেন এনাবল নামে বাটন আছে তাহলে সেটিতে ক্লিক করুন।  আর যদি দেখেন ডিজেবল নামে বাটন আছে তাহলে আপনার কাজ শেষ। এখন যদি আপনার এনাবল নামের বাটন থাকে তাহলে সেটিতে ক্লিক করে ধাপ ৭ ফলো করুন।
IDM Firefox Integration (5)
IDM Firefox Integration (5)
ধাপ ৭: ফায়ারফক্স রিস্টার্ট দিন।
IDM Firefox Integration (6)
IDM Firefox Integration (6)
ব্যাস আপনার কাজ শেষ। আশা করি বুঝতে কোন অসুবিধা হয় নি। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি ফায়ারফক্সের কয়েকটি ভার্সনের আইডিএম ইন্টিগ্রেট করার পদ্ধতি এক সাথে বলার চেষ্টা করেছি।

Monday 23 November 2015

flower





































macca picture



picture





facebook login

লেবু খান, ওজন কমান


 লেবু খান, ওজন কমান



লেবুর রস যে শুধু খাবারে স্বাদ এনে রুচি বাড়ায়, ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করে তাই নয়৷ স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় লেবুর রস শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে ওজন কমায়৷

লেবু চিকিৎসা
ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই শরীরের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে হবে, যাতে বাড়তি ওজন সহজে কমতে পারে৷ তবে লেবু চিকিৎসা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন৷ তারপর দুই থেকে তিন সপ্তাহ প্রতিদিন কয়েক গ্লাস পানির সাথে তাজা লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন৷ নিয়ম করে প্রতিদিন কিন্তু!

প্রথম গ্লাস
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি অরগ্যানিক লেবু রস করে মিশিয়ে পান করুন৷ সারাদিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করবেন আর প্রথম গ্লাস ছাড়া অন্যান্যবার এক গ্লাস পানিতে আধখানা তাজা লেবুর রস দেবেন৷ অবশ্যই আগে থেকে করে রাখা রস নয়! অন্তত দুই সপ্তাহ এভাবে লেবুপানি পান করুন৷ প্রথম গ্লাসে মধু দিতে পারেন, মধুতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে তা সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে বরং কমায়৷

খাবারের পরিমাণ
আর হ্যাঁ, নিয়মিত যে পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকেন, লেবু চিকিৎসা চলাকালীন সময়টুকু সেই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে অর্ধেক করুন৷ এই সময় মাছ, মাংস, মিষ্টি বা চর্বিজাতীয় খাবার কম খাবেন৷ সবজির স্যুপ করে খেতে পারেন, স্যুপের মধ্যেও লেবুর রস দিতে পারেন৷ ১০০ গ্রাম লেবুতে থাকে ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, যা আমাদের নার্ভ, হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্ত করতে সাহায্য করে৷ অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন হাঁটাহাঁটি একটু বেশি করবেন৷

বাড়তি ফ্যাট কাটে
তিন সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পর দেখবেন ওজন কমেছে, শরীরটা অনেক হালকা লাগছে৷ আস্তে আস্তে আবার খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন৷ তবে তিন সপ্তাহ লেবু চিকিৎসার কথা একেবারে ভুলে যাবেন না, সবকিছুই সচেতনভাবে খাবেন৷ ফ্যাট জাতীয় খাবারের পর কুসুম গরম পানিতে ছোট একটি লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন৷ এতে বাড়তি ফ্যাটটুকু কেটে নেবে লেবুর রস৷ তাছাড়া মাত্র ১০০ গ্রাম লেবুর রস সারাদিনের অর্ধেক ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করতে পারে৷

লেবুর গুণ
লেবুর রস জীবাণুনাশক, সংক্রমণ দমনকারী, হজমে সাহায্য করে, চর্বিকে দূরে রাখে৷ লেবু যে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে, সে কথা বহু আগে থেকে প্রমাণিত৷ লেবুতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি৷ মূত্রের উৎপাদনের মাধ্যমে সহজে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হতে সাহায্য করে থাকে৷ লেবুর নিরাময় ক্ষমতা নিশ্চিত, যা অনেক গবেষণাও দেখা গেছে৷ লেবু অন্ত্র বা পেট পরিষ্কার করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে৷

ক্যান্সারের কোষ গঠন দমন করে
লেবু ক্যানসার কোষ গঠন দমন করতে সহায়তা করে৷ আর এই তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন জার্মানির বোখুম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ তাছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায়ও দেখা গেছে লেবুর রস কিডনিতে পাথর না জমতে সাহায্য করে৷ আর তাই ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ, পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার জন্য, এতে পাথর তৈরি হতে বাধাগ্রস্ত হয়৷

সৌন্দর্যচর্চায় লেবু
লেবুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে – সে কথা কম বেশি আমরা জানি৷ লেবু চিকিৎসার পর অবশ্যই তা সবারই চোখে পড়বে৷ সুবিধা হলো, লেবু সব জায়গায় এবং সারা বছরই পাওয়া যায়৷

লেবুতে অ্যালার্জি
লেবুর রস বা লেবুতে কারো কারো অ্যালার্জি হয়ে থাকে, তাই আগে থেকে জেনে নিয়ে লেবু চিকিৎসা শুরু করা উচিত৷ তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে৷

শিশুর জ্বর যখন গুরুতর


 শিশুর জ্বর যখন গুরুতর



শিশুদের প্রায়ই জ্বর হয়। দুনিয়াজুড়ে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেসব শিশু আসে তার প্রায় ২০-৩০ শতাংশ শিশুকে আনা হয় জ্বর উপসর্গ নিয়ে। শিশুদের বেশির ভাগ জ্বরই নিরীহ ধরনের ভাইরাস-সংক্রমণজাত। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রাণসংহারক ও মারাত্মক সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। তাই জানা থাকা দরকার জ্বর কখন গুরুতর হয়ে ওঠে। 
শিশু বয়সের জ্বর উপসর্গকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, শিশুর বয়স অনুযায়ী। খুব ছোট্ট শিশু—মানে এক বছরের কম বয়সী শিশু, ৩ থেকে ৩৬ মাস বয়সী শিশুর জ্বর এবং তিন বছরের বেশি বয়সী শিশুর জ্বরের ধরন-ধারণে আছে ভিন্নতা। খুব ছোট্ট শিশুর জ্বর হলে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, এদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম, তা ছাড়া তাকে টিকাদান সুরক্ষা ব্যবস্থাও দেওয়া হয়ে ওঠেনি। অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণও তেমন বোঝা যায় না। এ বয়সে জ্বরের জন্য জিবিএম, ই.কোলাই, এইচ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মারাত্মক রোগজীবাণু দায়ী হতে পারে। 
৩-৩৬ মাস বয়সী শিশুরা সাধারণত স্ট্রেপটো নিউমোনিয়া, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, সালমোনেলা, স্টেফাইলো ইত্যাদি জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে। 
শিশুদের হঠাৎ জ্বর যেসব রোগের কারণে হয় 
শ্বাসতন্ত্রের অসুখ: ঠান্ডা-সর্দি, কান পাকা, সাইনোসাইটিস
ফুসফুস: ব্রনকিওলাইটিস, নিউমোনিয়া
মুখগহ্বর: টনসিলাইটিস, দাঁতের ফোড়া
স্নায়ুতন্ত্র: মেনিনজাইটিস
অন্যান্য: আন্ত্রিক অসুখ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, গিঁটের সংক্রমণ, রক্তে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, টিকাদান-পরবর্তী জ্বর, ভাইরাসজনিত অসুখ—চিকেন পক্স, হাম, ক্যানসার ইত্যাদি।
জ্বর হলে যা জানা জরুরি 
-শিশুর জ্বর কত দিন ধরে, কত মাত্রায়-তা খেয়াল রাখুন ও চিকিৎসককে অবহিত করুন।
-জ্বরের সঙ্গে র্যাশ, বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট আছে কি না, তাও জানান। 
-বাড়িতে বা আপনজনদের মধ্যে অন্য কেউ অসুস্থ কি না, সেই তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। 
-এ পর্যন্ত শিশুর কী কী টিকা সম্পন্ন হয়েছে এবং বাড়িতে কী কী ওষুধ সেবন করানো হয়েছে তা জানাতে ভুলবেন না।
-ঘরে পোষা প্রাণী আছে কি না, নিকট অতীতে কোথায় শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া হয়েছে (যেমন পাহাড়ি এলাকায়) এসব তথ্যও জানা দরকার।
-শিশু ছোটবেলা থেকেই কোনো অসুখে আক্রান্ত কি না, যেমন: হাঁপানি, অ্যালার্জি, জন্মগত হৃদ্রোগ—তা অবশ্যই জানাবেন।
জ্বর নিয়ে ভয় নেই
জ্বরের ব্যবস্থাপনা মূলত: দুই ধরনের। প্রথমত: জ্বর নিয়ন্ত্রণ এবং দ্বিতীয়ত জ্বরের কারণ নির্ণয় করে কার্যকর চিকিৎসা। সাধারণভাবে জ্বর ক্ষতিকর কিছু নয় বরং এটি সংক্রমণ বা প্রদাহের বিরুদ্ধে শরীরের প্রথম প্রতিরোধ। জ্বর নিয়ন্ত্রণে অ্যাসিটোমিনোফেন (প্যারাসিটামল) বা আইবুফ্রোপেন কার্যকর। শিশু বয়সে জ্বর নিবারণে কখনো অ্যাসপিরিন ব্যবহার করতে নেই। স্পঞ্জিং বা বার্থিং (উষ্ণ জলে) উপশমে সাহায্য করে, তবে বরফ জল বা অ্যালকোহলে বাথ অপকারী। জ্বরের শিশুকে বেশি অসুস্থ মনে হলে, বিশেষত: ২৮ দিনের কম বয়সী জ্বরে ভোগা সব শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া ভালো। 

ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান
শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

কোমর ব্যথায় কী করি?


 কোমর ব্যথায় কী করি?

কাজের ভারে কোমর ব্যথা একটু-আধটু সবারই হয়। কারও কারও এই ব্যথা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। বয়স্কদের একটু বেশি হয়। সাধারণত দুটি কারণে কোমর ব্যথা হয়। ১. আঘাতজনিত কারণে ২. বয়সজনিত কারণে। এই রোগটি নির্ণয়ের জন্য আমরা প্রথমত এক্স-রে করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকি। দ্বিতীয়ত, সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য এমআরআই করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এই রোগটির চিকিৎসাপদ্ধতি দুটি। ১. কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল চিকিৎসাব্যবস্থা। ২. অপারেটিভ বা অপারেশন চিকিৎসাপদ্ধতি। এ রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তবে সঠিক চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া এবং চিকিৎসা নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
আমাদের দেশে বা সমাজে বহুবিধ চিকিৎসক বিরাজমান। হাতুড়ে কবিরাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপপ্রচার মানুষকে বিভ্রান্ত করে অনেক সময়। এ বিষয়ে সবার সজাগ ও সচেতন থাকা উচিত।
কোমর ব্যথায় পরামর্শ:

১. ব্যথা না কমা পর্যন্ত শুয়ে থাকবেন।
২. মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।
৩. ব্যথা কমে যাওয়ার পর যেকোনো এক কাত হয়ে শুয়ে থেকে উঠবেন।
৪. পিঁড়ি,মোড়া ইত্যাদিতে বসা নিষেধ।
৫. চেয়ার-টেবিলে বসে ভাত খেতে হবে।
৬. টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠাবেন না।
৭. ফোমের বিছানায় (নরম বিছানায়) শোয়া নিষেধ।
৮. দাঁড়িয়ে রান্না ও কাজ করবেন।
৯. অনেকক্ষণ একই আসনে বসে থাকবে না। মাঝেমধ্যে দাঁড়িয়ে ঘোরাফেরা করবেন।
১০. চেয়ারে বসার সময় এক ঊরুর ওপর আরেক ঊরু দিয়ে আড়াআড়ি করে বসবেন।
১১. বসার সময় হাঁটার লেবেল মাজা/ কোমরের ওপর থাকবে।
১২. উপুড় হয়ে শোবেন না।
১৩. কোনো জিনিস তোলার সময় হাঁটু ভেঙে কোমর না বাঁকিয়ে সোজা হয়ে বসে তুলবেন।
১৪. ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে গোসল করবেন।
১৫. ব্যথা থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার ব্যায়াম করবেন না।
১৬. শরীরের ওজন কমাতে হবে।
১৭. সিঁড়িতে ওঠার সময় ধীরে ধীরে উঠবেন, যাতে মেরুদণ্ড বাঁকা না হয়।
১৮. মালিশ নিষেধ।
১৯. টয়লেটে কমোড ব্যবহার করবেন।
২০. যাত্রার সময় সামনে আসনে বসবেন।
২১. কোনো ভারী জিনিস ওঠাবেন না।
২২. ডান বা বাম পাশ দিয়ে ফিরে বিছানা থেকে উঠবেন।



মাহবুব হোসেন:
প্রধান, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা