Sunday 22 November 2015

শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ


আল্লাহর নামের সাথে আব্দ শব্দ সম্বধিত করে কিছু নির্বাচিত নাম
আব্দুল আযীয (عَبْدُ الْعَزِيْزِ- পরাক্রমশালীর বান্দা), আব্দুল মালিক (عَبْدُ الْمَالِكِ-মালিকের বান্দা), আব্দুল কারীম (عَبْدُ الْكَرِيْمِ-সম্মানিতের বান্দা), আব্দুর রহীম (عَبْدُ الرَّحِيْمِ-করুণাময়ের বান্দা), আব্দুল আহাদ (عَبْدُ الْأَحَدِ- একক সত্তার বান্দা), আব্দুস সামাদ (عَبْدُ الصَّمَدِ- পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্বের অধিকারীর বান্দা), আব্দুল ওয়াহেদ (عَبْدُ الْوَاحِدِ-একক সত্তার বান্দা), আব্দুল কাইয়্যুম (عَبْدُ الْقَيُّوْمِ-অবিনশ্বরের বান্দা), আব্দুস সামী (عَبْدُ السَّمِيْعِ-সর্বশ্রোতার বান্দা), আব্দুল হাইয়্য (عَبْدُ الْحَيِّ-চিরঞ্জীবের বান্দা), আব্দুল খালেক (عَبْدُ الْخَالِقِ-সৃষ্টিকর্তার বান্দা), আব্দুল বারী (عَبْدُ الْبَارِيْ-স্রষ্টার বান্দা), আব্দুল মাজীদ (عَبْدُ الْمَجِيْدِ-মহিমান্বিত সত্তার বান্দা) ইত্যাদি।
নবী ও রাসূলগণের নাম
সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হচ্ছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ); তাঁর অন্য একটি নাম হচ্ছে- আহমাদ (أَحْمَدُ)শ্রেষ্ঠতম পাঁচজন রাসূলের নাম হচ্ছে- নূহ (نُوْحٌ), ইব্রাহীম (إبْرَاهِيْمُ), মুসা (مُوْسَى), ঈসা (عِيْسَى) ও মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ)এগুলো ছাড়াও কুরআনে কারীমে আরো কিছু নবী ও রাসূলের নাম এসেছে সেগুলো হচ্ছে- হুদ (هُوْدٌ), সালেহ (صَالِحٌ), শুআইব (شُعَيْبٌ), দাউদ (دَاوُدُ), ইউনুস (يُوْنُسُ), ইয়াকুব (يَعْقُوْبٌ), ইউসুফ (يُوْسُفُ), ইসহাক (اِسْحَاقٌ), আইয়ুব (أَيُّوْبُ), যাকারিয়া (زَكَرِيَّا), লূত (لُوْطٌ), হারুন (هَارُوْنٌ), ইসমাঈল (اِسْمَاعِيْلُ), ইয়াহইয়া (يَحْيى), যুল-কিফেল (ذُو الْكِفْلِ), আল-ইসাআ (اَلْيَسَع), আদম (آدم) ও একজন নেককার বাদশাহ হিসেবে ‘যুলকারনাইন (ذُو الْقَرْنَيْنِ) ইত্যাদি।
নির্বাচিত কিছু পুরুষ সাহাবীর নাম
সাহাবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন- চারজন খলিফা। মর্যাদা অনুযায়ী তাঁদের সুপরিচিত নাম বা উপনাম হচ্ছে- আবু বকর (أَبُوْ بَكْر), উমর (عُمَرُ), উসমান (عُثْمَانُ), আলী (عَلِيٌّ)। এর পরের মর্যাদায় রয়েছেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বাকী ৬ জন সাহাবী। তাঁদের নাম হচ্ছে- আব্দুর রহমান (عبد الرحمن), যুবাইর (الزبير), তালহা (طَلْحَةُ), সাদ (سَعْدٌ), আবু উবাইদা (أَبُوْ عُبَيْدَةُ), সাঈদ (سَعِيْدٌ)। এরপর মর্যদাবান হচ্ছেন- বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ। বিশিষ্ট সাহাবী যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহ তার ৯ জন ছেলের নাম রেখেছিলেন বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৯ জন সাহাবীর নামে। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ (عَبْدُ الله), মুনযির (مُنْذِرٌ), উরওয়া (عُرْوَةُ), হামযা (حَمْزَةُ), জাফর (جَعْفَرٌ), মুস‘আব (مُصْعَبٌ), উবাইদা (عُبَيْدَةُ), খালেদ (خَالِدٌ), উমর (عُمَرُ)[34]
মেয়ে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম: 
খাদিজা (خَدِيْجَةُ), সাওদা (سَوْدَةُ), আয়েশা (عَائِشَةُ), হাফসা (حَفْصَةُ), যয়নব (زَيْنَبُ), উম্মে সালামা (أُمِّ سَلَمَة), উম্মে হাবিবা (أُمِّ حَبِيْبَة), জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ), সাফিয়্যা (صَفِيَّةُ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাবর্গের নাম: ফাতেমা (فَاطِمَةُ), রোকেয়া (رُقَيَّةُ), উম্মে কুলসুম (أُمُّ كلْثُوْم)। আরো কিছু নেককার নারীর নাম- সারা (سَارَة), হাজেরা (هَاجِر), মরিয়ম (مَرْيَم)।
মহিলা সাহাবীবর্গের নাম: 
রুফাইদা (رُفَيْدَةُ -সামান্য দান), আমেনা (آمِنَةُ -প্রশান্ত আত্মা), আসমা (أَسْمَاءُ -নাম), রাকিকা (رَقِيْقَةٌ-কোমলবতী), নাফিসা (نَفِيْسَةُ-মূল্যবান), উমামা (أُمَامَةُ- তিনশত উট), লায়লা (لَيْلى -মদ), ফারিআ (فَرِيْعَةُ -লম্বাদেহী), আতিকা (عَاتِكَةُ -সুগন্ধিনী), হুযাফা (حُذَافَةُ-সামান্য বস্তু), সুমাইয়্যা (سُمَيَّةُ -আলামত), খাওলা (خَوْلَةُ-সুন্দরী), হালিমা (حَلِيْمَةُ -ধৈর্য্যশীলা), উম্মে মাবাদ (أم مَعْبَد-মাবাদের মা), উম্মে আইমান (أمَّ أَيْمَن-আইমানের মা), রাবাব ( رَبَاب-শুভ্র মেঘ), আসিয়া (آسِيَةُ-সমবেদনাপ্রকাশকারিনী), আরওয়া (أرْوَى -কোমল ও হালকা), আনিসা (أنِيْسَةُ -ভাল মনের অধিকারিনী), জামিলা (جَمِيْلَةُ-সুন্দরী), দুর্‌রা (دُرَّة-বড় মতি), রাইহানা (رَيْحَانَة-সুগন্ধি তরু), সালমা (سَلْمى-নিরাপদ), সুআদ (سُعَاد-সৌভাগ্যবতী), লুবাবা (لُبَابَة-সর্বোত্তম), আলিয়া (عَلِيَّةُ-উচ্চমর্যাদা সম্পন্না), কারিমা (كَرِيْمَةُ উচ্চবংশী)।
মেয়েদের আরো কিছু সুন্দর নাম: 
ছাফিয়্যা (صَفِيَّةُ), খাওলা (خَوْلَةُ), হাসনা (حَسْنَاء-সুন্দরী), সুরাইয়া (الثُّرَيا-বিশেষ একটি নক্ষত্র), হামিদা (حَمِيْدَةُ-প্রশংসিত)দারদা (دَرْدَاءُ), রামলা (رَمْلَةُ- বালিময় ভূমি), মাশকুরা (مَشْكُوْرَةٌ-কৃতজ্ঞতাপ্রাপ্ত), আফরা (عَفْرَاءُ-ফর্সা)।
ছেলে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম
উসামা (أسامة-সিংহ), হামদান (প্রশংসাকারী), লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান), রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল), রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ), মামদুহ (مَمْدُوْح-প্রশংসিত), নাবহান (نَبْهَان- খ্যাতিমান), নাবীল (نَبِيْل-শ্রেষ্ঠ), নাদীম (نَدِيْم-অন্তরঙ্গ বন্ধু), ইমাদ (عِمَاد- সুদৃঢ়স্তম্ভ), মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), মাইমূন (مَيْمُوْن- সৌভাগ্যবান), তামীম (تَمِيْم-দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ), হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি), (بَدْرٌ-পূর্ণিমার চাঁদ), হাম্মাদ (حَمَّادٌ-অধিক প্রশংসাকারী), হামদান (حَمْدَانُ-প্রশংসাকারী), সাফওয়ান (صَفْوَانُ-স্বচ্ছ শিলা), গানেম (غَانِمٌ-গাজী, বিজয়ী), খাত্তাব (خَطَّابٌ-সুবক্তা), সাবেত (ثَابِتٌ-অবিচল), জারীর (جَرِيْرٌ- রশি), খালাফ (خَلَفٌ- বংশধর), জুনাদা (جُنَادَةُ- সাহায্যকারী), ইয়াদ (إِيَادٌ-শক্তিমান), ইয়াস (إِيَاسٌ-দান), যুবাইর (زُبَيْرٌ- বুদ্ধিমান), শাকের (شَاكِرٌ-কৃতজ্ঞ), আব্দুল মুজিব (عَبْدُ الْمُجِيْبِ- উত্তরদাতার বান্দা), আব্দুল মুমিন (عَبْدُ الْمُؤْمِنِ- নিরাপত্তাদাতার বান্দা), কুদামা (قُدَامَةُ- অগ্রণী), সুহাইব (صُهَيْبٌ-যার চুল কিছুটা লালচে) ইত্যাদি।

No comments:

Post a Comment