Friday 20 November 2015

ধারাবাহিক ভাবে কম্পিউটার শিখি একদম নতুনদের জন্য


আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন, আমি ও আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি।“দ্বিতীয় পর্ব” দ্বিতীয় পর্বে যা থাকছে।
১- কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ  Classification of Computer
২-  কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ধারনা

 ১- কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ
আকৃতি,মূল্য,সংরক্ষণ ক্ষমতা, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কার্য সম্পাদনা এবং ব্যবহার সুবিধা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। আকৃতিগত ও ব্যবহারের দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ভাগ গুলো হলোঃ
১ – সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
২ – মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
৩ – মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)
৪ – মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)
 Super Computer
১ – সুপার কম্পিউটার (Super Computer) – আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতি সম্পন্ন। বিপুল প্রক্রিয়াকরণের কাজে ব্যবহৃত অধিক ব্যয়বহুল এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ – CRAY-1,CRAY X-MP,CYBER-205 । সম্প্রতি জেদ্দায় বাদশাহ আব্দুল্লাহ ইবনে আজিজ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে শাহীন নামের একটি সুপার কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছে, যা উন্নত বিশ্বের বাহিরে সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার।
Mainframe Computer
২ – মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer) – সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কিন্তু অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরনের কম্পিউটার একই সঙ্গে অনেকগুলি গ্রহণ মুখ / নির্গমন মুখ এবং অনেক রকম সহায়ক সৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। উদাহরন- UNIVAC 1100/01, IBM6120, IBM4341, NCR N8370, DATA GENERAL CS30 ইত্যাদি।
Mini Computer
৩ – মিনি কম্পিউটার (Mini Computer) – মাঝারি ধরনের এ শ্রেণীর কম্পিউটারকে একটি টেবিলে বসানো সম্ভব। এ শ্রেণীর কম্পিউটারের টার্মিনালের মাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। এ ধরনের কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। উদাহরন-PDP11,NOVA3,IBM S/34,IBM S/36 ইত্যাদি।

৪ – মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)- বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ধরনের কম্পিউটারগুলো আকৃতিগত দিক হতে ছোট এবং দামেও খুব সস্তা। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। আমাদের জীবনযাপনের সর্ব ক্ষেত্রে এ শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় , তাই একে মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারও বলা হয়। উদাহরন – IBM PC, APPLE iMacইত্যাদি। মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে আবার তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথাঃ
  • ১- সুপার মাইক্রো (Super Micro)
  • ২- ডেস্কটপ (Desk Top)
  • ৩- ল্যাপটপ  (Lap Top) 
সুপার মাইক্রো (Super Micro)-  সুপার মাইক্রো কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার । এর আরেক নাম ওয়ার্ক স্টেশন (Work station)। এ শ্রেণীর কম্পিউটারের ক্ষমতা মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি বিধায় এগুলো মিনি ফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।

ডেস্কটপ (Desk Top) – এ শ্রেণীর কম্পিউটার সহজেই একটি ডেস্ক এর উপর রাখা যায় বলে এগুলো ডেস্কটপ কম্পিউটার বলা হয়।

ল্যাপটপ  (Lap Top) – ডেস্কটপ কম্পিউটার অপেক্ষা খুদ্র কম্পিউটার গুলো ল্যাপটপ নামে পরিচিত। এগুলো আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং কাজ করার হময় Lap বা কোল- এর উপর রেখে কাজ করা যায় বলে এগুলোকে বলা হয় ল্যাপটপ কম্পিউটার। ল্যাপটপ কম্পিউটার গুলোকে আবার দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
 যথাঃ-   নোট বুক (Note Book)- এগুলো ছোট ডায়েরির মতো দেখতে।

No comments:

Post a Comment