Monday 23 November 2015

রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের বরকত ও ফজীলত


মাহে রমজানের আজ ৬ষ্ঠ দিবস। ঘরে ঘরে মসজিদে মক্তবে মুমিন মুসলমানরা কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ তিলাওয়াতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। গতকাল মানব কল্যাণে কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নের উপকারিতা বর্ণনার সূত্রপাত করেছিলাম। আজ মানব জীবনের আধুনিকায়নে জ্ঞানবিজ্ঞানের তৃষ্ণা মিটানোর ক্ষেত্রে এমনকি বিশ্বাসী মানুষের অভাব মোচনের ক্ষেত্রে এ কুরআন শরীফের তিলাওয়াত অনুধাবন কত কার্যকর সে সম্পর্কে দু’চার কথা। পবিত্র কোরআন সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার প্রাচীনতম উৎস-সূত্র। এখানে শুধু নামায কালামের কথা বলা হয়নি, সৃষ্টি রহস্য ও বিশ্ব ইতিহাসের বহু তত্ত্ব ও তথ্যে সমৃদ্ধ এ মহাগ্রন্থ। এইতো মাত্র চার দশকেরও কিছু আগে (১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই) মানুষ প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। এ ঐতিহাসিক দিনে নেইল আমস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স, অলড্রিন প্রমুখ সৌভাগ্যবান মানব সন্তান চাঁদের দেশে মানব জাতির পদচিহ্ন আঁকেন। যে সময়, যে যুগে তারা এ মহা বিজয়ের সুসংবাদ বয়ে এনেছেন তখনও মানুষের এক বিরাট অংশ তা সহজে মেনে নিতে পারেনি। বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনি। তাদের বিশ্বাস হলো, মানুষের পক্ষে আকাশ জয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ ধীরে ধীরে তাদের সে বিশ্বাস ভাঙছে, তারা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর কারিশমা বলে ক্রমেই অনুধাবন করতে ও প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment